মুম্বাইকে দেখুন ভিন্ন আঙ্গিকে

 

মুম্বাই পর্যটকদের জন্য একটি অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতার জায়গা, বিশেষ করে আপনি যাদি বাকিদের থেকে ভিন্নভাবে একে দেখতে চান। মধ্যরাতের বাইকের যাত্রা থেকে শুরু করে বলিউডের সেটগুলি ঘুরে দেখা, এই অনন্য অভিজ্ঞতাগুলি আপনার মুম্বাই ভ্রমণকে সত্যিই স্মরণীয় করে তুলবে।

ঘুরে দেখুন কোয়ান কুং মন্দির

কোয়ান কুং মন্দিরটি মুম্বাইয়ের একমাত্র চীনা মন্দির এবং এই শহরের এক সময়ের সমৃদ্ধশালী চীনা-ভারতীয় জনসংখ্যার একটি কঠিন স্মারক। ছোট এবং মনোরম এই মন্দিরটি ১৯১৯ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটিকে পাওয়া যাবে মাজগাঁওয়ে – ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের আগ পর্যন্ত যেটি ছিল নগরীর চায়নাটাউন এবং সেসময় বেশিরভাগ পরিবারকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। মন্দিরের দেয়ালগুলিতে কাগজের ফানুস, মূর্তি, নকশা এবং পবিত্র লিপি দ্বারা চমৎকারভাবে সজ্জিত। দেখার জন্য এটি একটি অসাধারণ স্থান, তবে বেশিরভাগ সময় এটি অনেকের দৃষ্টির বাইরেই হয়ে যায়।

ঐতিহাসিক গুহা মন্দিরগুলি দেখে আসুন

মুম্বাই ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাতে বহু ঐতিহাসিক গুহা জাতীয় কাঠামো ছোট ছোট বিন্দুর মতো ছড়িয়ে রয়েছে। এলিফ্যান্টা দ্বীপে অবস্থিত এলিফ্যান্টা গুহা খ্রিস্টীয় ৫ম এবং ৮ম শতাব্দীর মাঝে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।

সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের গভীরে কানহেরি গুহা

আরও আছে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের গভীরে পাওয়া কানহেরি গুহাগুলিতে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীর প্রথম দিকের কাঠামো, যেখানে জোগেশ্বরীর বৌদ্ধ ও হিন্দু গুহা মন্দিরগুলি যা খ্রিস্টীয় ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পূর্ববর্তী।

মধ্যরাতে একটি বাইক ট্রিপ দিন

মুম্বাইতে পর্যটকদের জন্য কয়েকটি ভালো সাইক্লিং রুট রয়েছে যা ঘন্টার পর ঘন্টা ঘুরে দেখতে বেশ মজার, বিশেষ করে যখন ট্র্যাফিক কিছুটা কমতে থাকে। সেখানে অনেকগুলি সাইক্লিং গ্রুপ রয়েছে যারা এই ট্রিপগুলি পরিচালনা করে। এদের মাঝে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে নরিমন পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে বান্দ্রা ব্যান্ডস্ট্যান্ডে শেষ হওয়া রুট। আপনি যদি শহরটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চান তবে এই ভ্রমণটি অবশ্যই করবেন।

অপরিচিত কোন সমুদ্র সৈকতে যাত্রা

কার্যত চারদিকে আরব সাগর দ্বারা বেষ্টিত হওয়ায় মুম্বাইয়ের বিভিন্ন বিচ রয়েছে।

গড়াই বিচ

জুহু, ভার্সোভা এবং গিরগাঁও জনাকীর্ণ সৈকত বেড়ানো বাদ দিন; এর পরিবর্তে নগরীর উপকণ্ঠে উড়ান কিংবা গড়াই এর মতো আরও নির্মল সমুদ্র সৈকত উপভগ করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post